টানা দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে পতন
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টানা দুই কার্যদিবস মূল্যসূচকের পতন ঘটেছে। মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমেছে। আর সিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
এদিন দুই বাজারে মূল্যসূচকের পতন ঘটলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ১৩২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি। অপর বাজার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা বেশি।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা এবি আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যে দরপতন হয়েছে তা মূলত মূল্য সংশোধন। তবে বিনিয়োগকারীদের সচেতনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। গুজবে কান দিয়ে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাজারে উত্থান-পতন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকলে যে ভাল তা নয়। বাজার একটানা বাড়তে থাকলে ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। বাজারে ছোট ছোট উত্থান-পতন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি বাজারে বড় ধরনের কোন উত্থান বা পতন দেখা যাচ্ছে না। উত্থান হোক বা পতন হোক তা সীমিত আকারের। এটি পজেটিভ লক্ষণ।
মঙ্গলবার টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৬৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। লেনদেনে এরপর রয়েছে, ইসলামী ব্যাংক, সেন্ট্রাল ফার্মা, বারাকা পাওয়ার, বিডি থাই, কেয়া কসমেটিকস, ফরচুর সুজ এবং আরএসআরএম স্টিল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ২৫৭টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দাম।
এমএএস/ওআর/জেআইএম