এবার বাড়ছে বিদ্যুতের দাম
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর এবার বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শুক্রবার ঢাকায় শিশু একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমন আভাস দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে তাই আমরা বিদ্যুতের দামও সমন্বয় করতে চাই। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ করার লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সুতরাং আমাদের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করার মানসিকতাও থাকতে হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপ লাইনে বাংলাদেশে ৩০-৩৫ লাখ গ্রাহক গ্যাস পায়। বাকি কোটি কোটি লোকের কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশে আবাসিক খাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি দেয়া আমাদের দায়িত্ব। সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি।
সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে আমরা পাইপ লাইনে গ্যাস ব্যবহার থেকে সরে আসতে চাই। সেই সঙ্গে এলপিজির ব্যবহার বাড়ানো ও এর দাম সহনীয় রাখতে চাই।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম জানান, আগামী ১ মার্চ থেকে আবাসিক খাতে দুই চুলার জন্য ৮০০ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০ টাকা এবং দ্বিতীয় ধাপে জুন থেকে দুই চুলার জন্য ৯৫০ এবং এক চুলার জন্য ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাণিজ্যিক খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম মার্চে ১৪.২০ টাকা এবং জুনে ১৭.০৪ টাকা হবে। সিএনজির দাম মার্চে প্রতি ঘনমিটার ৩৮ ও জুনে ৪০ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে ১ মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম হবে ২ টাকা ৯৯ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৮ টাকা ৯৮ পয়সা, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ১৪ টাকা ২০ পয়সা, ৭ টাকা ২৪ পয়সা এবং সিএনজিতে ৩৮ টাকা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ১ জুন থেকে বিদ্যুৎ খাতে ৩ টাকা ১৬ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ার ৯ টাকা ২২ পয়সা, শিল্প খাতে ৭ টাকা ৭৬ পয়সা, বাণিজ্যিকে ১৭ টাকা ৪ পয়সা, সিএনজিতে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসআই/আরএস/এমএস