গ্রামীণ উন্নয়ন ছাড়া মধ্যম আয়ে পৌঁছানো সম্ভব নয়
গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ছাড়া মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী পরিচালক হোসেন জিল্লুর রহমান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে ‘ঢাকার ভবিষ্যৎ অর্থনীতি : সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
হোসেন জিল্লুর বলেন, আমাদের দেশে একটি নীতি বা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের দু’টি নীতিতে এগিয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে একটি ঢাকা কেন্দ্রিক আর অন্যটি মফস্বল কেন্দ্রিক।
তিনি বলেন, ঢাকা বলতে এখন সরকার ভাবছে গুলশান বারিধারাসহ অভিজাত এলাকাকে নিয়ে। কিন্তু অর্থনৈতিক কার্মকাণ্ডের প্রাণ কেন্দ্র হচ্ছে পুরান ঢাকা। সেই পরান ঢাকা নিয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। এ বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
সেমিনারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঢাকার স্বাস্থ্য সেবা এক জায়গায় নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। এ নীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এ জন্য জোন বা অঞ্চল ভিত্তিক বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে হবে। ঢাকা মেডিকেলের শয্যা বা বেড আর বাড়ানো যাবে না। এখানকার চিকিৎসার মান বাড়াতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নগরবাসীর সুবিধার জন্য সামাজিক কিছু দায়িত্ব বিনা পয়সায় করতে পারেন। যেমন- বিভিন্ন এলাকায় ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা, বস্তিবাসীদের জন্য অাধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা। একইসঙ্গে ছিন্নমূলদের এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রসঙ্গ আসলে শুধু গামেন্ট সেক্টোরের উদাহরণ তুলে ধরা হয়। কিন্তু অর্থনীতি শুধু গামেন্ট সেক্টর নয়। এতে সামাজিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য খাত রয়েছে। তাই এসব খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে নীতি নির্ধারকদের কোনো বিষয়ে পরিকল্পনা নেয়ার আগে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর আয়োজনে এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান। এছাড়া মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সাবেক পরিচালক এ কে খায়ের, নগর পরিকল্পনাবিদ আক্তার মাহমুদ প্রমুখ।
এসআই/আরএস/পিআর