দুই অর্থবছরে বিমানের মুনাফা ৬শ কোটি টাকা
জেট ফুয়েলের মূল্য বেশি এবং কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিগত দুই অর্থবছরে নিট মুনাফা করেছে ৬শ কোটি টাকা।
বিদায়ী ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমানের নিট মুনাফা ২৭৬ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বিমান ৩২৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছ বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ।
তিনি জানান, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩১০ কোটি টাকা রাজস্ব কর প্রদান করেছে। আয় না করে রাজস্ব প্রদান সম্ভব হতো না। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান যাত্রী বহন করেছে ২৩ লাখ ১৮ হাজার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরে ছিল ২০ লাখ ২০ হাজার। কার্গো পরিবহন খাতে বিমান ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৯ শ মেট্রিক টন মালামাল পরিবহন করেছে। যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের চেয়ে সাত শতাংশ কম।
২০১৬ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণে কার্গো পরিবহন তুলনামূলক কিছুটা কমে যায়। বিশ্ব বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে এভিয়েশন জেট ফুয়েলের তুলনামূলক মূল্য বেশি এবং কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিমানের এই মুনাফাকে উল্লেখযোগ্য সফলতা বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা।
বিমানের মার্কেটিং বিভাগের দাবি, বিমানে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বিমান যাত্রী পরিবহন করেছিল ১৫ লাখ ৭১ হাজার। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ২০ লাখ ২০ হাজার এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৩ লাখ ১৮ হাজার অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে বিমানের যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আট লাখ।
একই সঙ্গে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি এবং ফ্লাইট সিডিউল রেগুলারিটি নিশ্চিত করার জন্য বিমান নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি টাকার গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে যা দৃশ্যমান হবে। এ ছাড়া যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং খাতে ইতোমধ্যে নতুন ৪৫০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আরএম/এআরএস/আরআইপি