নতুন ভ্যাট আইনের অভিন্ন ব্যাখ্যা চায় এমসিসিআই
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে ভ্যাটের পরিধি ব্যাপক হারে বাড়বে। যা নিয়মিত করদাতাদের জন্য সুখবর বয়ে আনবে। তবে এ ভ্যাট আইন ও বিধির ব্যাখ্যা সব শ্রেণির ব্যবসায়ীর জন্য অভিন্ন রাখতে হবে।
মঙ্গলবার এমসিসিআই সম্মেলন কক্ষে ‘নতুন ভ্যাট আইন এবং বিধিমালা : বাস্তবায়নের রোডম্যাপ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়। এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
কর্মশালায় দুটি সেশনে নতুন ভ্যাট আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এনবিআর এর ভ্যাটনীতির সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল খালেক।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন হবে স্বচ্ছ। এ জন্য করদাতাদের সঙ্গে রাজস্ব সংলাপ করছে এনবিআর। ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে।
এমসিসিআইকে ভ্যাট অনলাইন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, এমসিসিআই সব সময় ভ্যাটের পরিধি বৃদ্ধি এবং ভ্যাট হার হ্রাস করাকে উৎসাহিত করে। নতুন আইন ভ্যাটের পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করেন এটা তাদের জন্য সুখবর। এর পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এডিআর (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) কার্যক্রমকে শক্তিশালী করে রাজস্ব মামলা কমিয়ে আনা যায়।’
নিহাদ কবির বলেন, নতুন আইন বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কিছু চ্যালেঞ্জ দেখছে। কর অব্যাহতি সুবিধা, সংকুচিত ভিত্তিমূল্য, ট্যারিফ ভ্যালু প্যাকেজ প্রথা বাতিল এবং ইউনিফর্ম ১৫ শতাংশ হার অন্যতম।
এমসিসিআই ও এর সদস্যদের পক্ষ থেকে ৩টি দাবি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবসা ও আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ, স্থিতিশীল ভ্যাট নীতি প্রয়োজন। সব করদাতার জন্য আইনের ব্যাখ্যা একই রকম হতে হবে এবং সব শ্রেণি করদাতার জন্য আইনের জন্য সমান প্রয়োগ হতে হবে।
প্রথম সেশনের মূল প্রবন্ধে ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর বলেন, ১৯৯১ সালে ভ্যাট আইন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। দুর্নীতি ও করদাতাদের হয়রানির সুযোগ বেশি। বিদ্যমান আইনে ৬০ শতাংশ ট্যাক্স গ্যাপ (কর আদায় ও ফাঁকির মধ্যে পার্থক্য) রয়েছে। পক্ষান্তরে নতুন আইনে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারে কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা।
এছাড়া নতুন আইন ব্যবসা প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং খরচ কমবে বলেও জানান তিনি।
এমএএস/আরএস/জেআইএম