সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
টানা দুই কার্যদিবস বড় দরপতনের পর মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। তবে মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে ৯০ পয়েন্ট।
অন্যদিকে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা কম। সর্বশেষ ২২ কার্যদিবসের পর এই প্রথম লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
মূলত গত ২৯ জানুয়ারি মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই শেয়ারবাজারে এক ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কিছুই মুদ্রানীতিতে নেই।
তবে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মুদ্রানীতি ঘোষণার পর পরই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয়। মুদ্রানীতি ঘোষণার দিনই রোববার বড় দরপতন ঘটে শেয়ারবাজারে। পরদিন সোমবারও অব্যাহত থাকে বড় দরপতনের ধারা। আর মঙ্গলবার সূচক কিছুটি বাড়লেও বড় অঙ্কের লেনদেন কমে গেছে।
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৮৫টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তীত আছে ২০টির দাম।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে বেক্সিমকো এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আরএসআরএম স্টিল।
এদিন ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে ড্রাগন সোয়েটার, পেনিনসুলা চিটাগাং, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, সেলভো কেমিক্যাল, ইসলামিক ফাইন্যান্স, ইসলামি ব্যাংক, টুংহাই, এক্সিম ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় আছে- গোল্ডেন সন, আরামিট সিমেন্ট, কে অ্যান্ড কিউ, ইয়াকিন পলিমার, অলটেক্স, তাল্লু স্পিনিং, আরডি ফুড, পূবালী ব্যাংক, জাহিন টেক্সটাইল এবং প্রাইম টেক্স।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স মূল্য সূচক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে। ৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৫৯টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির।
এমএএস/এএইচ/এমএস