মুদ্রানীতি ঘোষণা : শেয়ারবাজারে বড় পতন
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় অর্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর দেশের শেয়ারবাজারে রোববার বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১১৭ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ২৫২ পয়েন্ট।
এদিন উভয় শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে বেলা সাড়ে ১১টায় নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার পর দ্রুত নিম্নমুখী হয় সূচক। ফলে মূল্য সূচকের বড় দরপতন ঘটে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় শেয়ারবাজার নিয়ে গভর্নরের করা মন্তব্যের কারণে এমন দরপতন হয়েছে।
মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে বিরাজমান মন্দাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে। এই প্রক্রিয়াটি যাতে সুস্থ ধারায় থাকে সে জন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি অতীব জরুরি। না হলে অতীতের মতো এবারও প্রলুব্ধ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় শেয়ারবাজর নিয়ে গভর্নরের করা মন্তব্যের কারণেই রোববার বড় দরপতন হয়েছে। তিনি এখন যে ধরনের নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন, তা এ মুহূর্তে দরকার নেই। নেতিবাচক কথা বলছে বাজারে তার একটি প্রভাব পড়বেই।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা য়ায়, রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২৭৫টিরই দরপতন হয়েছে। অপরদিকে ৪৭টির দাম বেড়েছে এবং ৫টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। লেনদেন হওয়া ২৬৩টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির।
এমএএস/বিএ/পিআর