গুণগত মানোন্নয়নে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা
প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক করতে পারলে উন্নয়ন আরও গুণগত মানের হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
মঙ্গলবার পুরান ঢাকায় বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত প্রফেসর শফিকুর রহমান স্মারক বক্তৃতা ২০১৬ অনুষ্ঠানে ‘প্রোসপারিটি ফর অল, পোভার্টি ফর নান: এ জার্নি টোয়ার্ডস ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন’ বিষয়ের ওপর বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিউর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সুশাসন ও নাগরিকদের প্রতি ন্যায়ভিত্তিক আচরণের যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে এসব মোকাবিলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছাতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই নগরায়নের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য শক্ত করতে হবে রাজস্ব আহরণ, বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ, আর্থিক খাত, ভূমিবাজার, ব্যবসা করার খরচ, জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়নসম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
সংখ্যার হিসেবে দেশে এখনও বিপুল পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন। অনেক মানুষ বাস করছেন দারিদ্র্যসীমার সামন্য উপরে। তারা খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে জানান প্রফেসর আতিউর রহমান।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে অতিদারিদ্রের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। আর সাধারণভাবে দারিদ্রের হার ২৩ দশমিক ২ শতাংশে রয়েছে।
সাবেক এ গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ সবদিক থেকে এগিয়ে গেলেও সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হতে চাইলে প্রবৃদ্ধির হার হতে হবে ৮ শতাংশের বেশি। আর বিনিয়োগের হার জিডিপির ৩৪ শতাংশ করতে হবে। এ জন্য অবকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়ার পাশাপাশি, কাজের গতিও বাড়াতে করতে হবে।
সরকারের ‘ভিশন-২০২১’ এর কথা উল্লেখ করে আতিউর রহমান বলেন, জনগণের মৌলিক চাওয়াকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে সরকারের ভিশন-২০২১। ইতোমধ্যেই এ উদ্যোগের সুফল দিতে শুরু করেছে। অর্থনীতি ও উন্নয়নের সব সূচকেই বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। কৃষি ও এসএমই খাতে প্রচুর অর্থায়ন ঘটেছে। এর ফলে দেশীয় চাহিদা ও বাজার যেমন বেড়েছে, তেমনি সরবারহও বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রফেসর খন্দকার বজলুল হক এবং কনভেইনার ড. সাব্বির আহমেদ।
এসআই/বিএ