শেয়ারবাজারে মূল্য সংশোধন
টানা সাত কার্যদিবস উত্থানের পরে বুধবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন এ দর পতনের মাধ্যমে কিছুটা মূল সংশোধন হলো।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট কমেছে। যা এর আগে টানা ৭ কার্যদিবসের উত্থানে ৪১ পয়েন্ট বেড়েছিল। সে উত্থান শুরু হয়েছিল গত ৯ জানুয়ারি।
বুধবার ডিএসইতে ১ হাজার ৯৮৯ কোটি৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর আগের দিন এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৪টি বা ৩৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। আর ১৯১টি বা ৫৮ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে এবং২৩টি বা ৭ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বারাকা পাওয়ারের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো’র ৭১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আরএকে সিরামিকস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সাইফ পাওয়ারটেক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ইফাদ অটোস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ও কেয়া কসমেটিকস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১২১ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৮টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
এমএএস/এএইচ/এমএস