ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বাণিজ্য মেলায় বিদেশি স্টলের নামে প্রতারণা

প্রকাশিত: ০৩:২৯ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিদেশি প্যাভিলিয়নের নামে চলছে প্রতারণা। প্রায় সব স্টলেই চীনা নিম্নমানের পণ্যের সমারোহ।
অন্যদিকে বিদেশি পণ্যের ট্যাগ দিয়ে দেশি পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বাণিজ্য মেলার এবারের আসরের বেশিরভাগ বিদেশি প্যাভিলিয়নেই দেখা গেছে এমন অনিয়মের চিত্র। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিদেশি পণ্য কিনতে এসে প্রতারিত হচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, এক দেশের নামে বরাদ্দ দেয়া প্যাভিলিয়নে বিক্রি হচ্ছে অন্য দেশের পণ্য।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নতুন সাতটিসহ ২১টি দেশ অংশ নিয়েছে। এসব দেশের নামে ৩৮টি প্যাভিলিয়নও সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। বিভিন্ন দেশের নামে প্যাভিলিয়ন থাকলেও ভেতরের স্টলের বেশিরভাগ পণ্যই দেশি।

মেলার বিদেশি জোনে যুক্তরাজ্যের নামে প্যাভিলিয়নের বরাদ্দ দেয়া হলেও ভেতরে দেশীয় বিসমিল্লাহ টেক্সটাইলের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।

Mela

তার পাশেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাভিলিয়ন। যেখানে মাকাম হারবাল আর রাতুল ফ্যাশন নামের স্টল খুলে বসেছেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ জানতে চাইলে এসব প্যাভিলিয়ন থেকে বলা হয়, মেলা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই তারা স্টল পেয়েছেন।

এভাবে বিদেশি প্যাভিলিয়নের নামে দেশীয় পণ্য বিক্রি করায় প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা দর্শনার্থীরা।

এদিকে এ ধরনের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মেলা অফিসে কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে মেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘বিদেশি প্যাভিলিয়নে দেশি পণ্য বা এক দেশের নাম নিয়ে অন্য দেশের পণ্য বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তা প্রতিরোধে এবার অবশ্য তেমন কিছুই করা যায়নি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা হবে।’

মঙ্গলবার মেলার প্রধান গেট দিয়ে ঢোকার পর বাঁ পাশে ‘ইরানি পণ্যের প্যাভিলিয়ন। তাতে রত্নপাথর, বোরকা, কসমেটিকস, প্রেশারকুকার, মসলা ইত্যাদি পণ্যে ভরপুর। প্রেশারকুকারের ব্র্যান্ড ‘কিয়াম’।

Mela

নিজেদের আলাদা প্যাভিলিয়ন থাকার পরও ইরানি প্যাভিলিয়নে কিয়ামের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

পশ্চিম পাশে আরেক প্যাভিলিয়ন ‘পাকিস্তানি পণ্য’। এর ভেতরে ৮-১০টি স্টল। খান এক্সপোর্টস নামের একটি পাকিস্তানি কোম্পানি শুধু শাল নিয়ে এসেছে মেলায়।

পাকিস্তানি পণ্য সম্ভারের পাশেই ‘ভারতীয় পণ্য সম্ভার’। বিভিন্ন ধরনের কাশ্মীরি শাল নিয়ে এসেছেন ভারতীয় নাগরিক খুরশিদ আহমেদ। শালের দাম ৪০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

খুরশিদ আহমেদ জানান, ভারতীয় প্যাভিলিয়নের ভেতরে তিনিই একমাত্র ভারতীয় পণ্য বিক্রি করছেন। অন্যরা বিভিন্ন দেশের পণ্য নিয়ে এসেছেন।

অন্যদিকে কিয়াম প্যাভেলিয়নের পেছনে রয়েছে থাইল্যান্ড প্যাভিলিয়ন। যেখানে বেশিরভাগ পণ্য বেশ রংচঙে। দামও বেশি। একজন ক্রেতা বলছেন, এগুলোতো সবই চাইনিজ মাল।  বাজারেও পর্যাপ্ত। তাহলে বাণিজ্য মেলা থেকে কেনার মানে কি?

এমএ/এমআরএম/পিআর