পাঁচ টাকার নতুন নোট
৫ টাকা মূল্যমানের কারেন্সি নোটটি বেগুনিকে প্রাধান্য দিয়ে কয়েকটি রঙ ব্যবহার করে নতুনভাবে মুদ্রণ করেছে সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এটি ইস্যু করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিসেও পরে নোটটি পাওয়া যাবে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ স্বাক্ষরিত ৫ টাকা মূল্যমানের নতুন কারেন্সি নোটটি হালকা বেগুনি রঙে মুদ্রণ করা হয়েছে। নোটটির সামনের অংশে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং পিছনের অংশে নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদের ছবি রয়েছে।
নতুনভাবে মুদ্রিত এ নোটের উভয় পিঠের উপরের অংশে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ লেখা এবং পেছনের অংশে ডান দিকে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক রয়েছে। নোটটির আকার, জলছাপ, ডিজাইন ও অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বর্তমানে প্রচলিত থাকা নোটের অনুরূপ।
নতুন মুদ্রিত নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত ৫ টাকা মূল্যমানের নোট এবং ধাতব মুদ্রাও চালু থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুনে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর করা ৫ টাকার নোট বাজারে আসার আগে এটি ব্যাংক নোট হিসেবে ছিল। তবে ৫ জুন প্রথমবারের মতো সরকারি নোট হিসেবে পাঁচ টাকার নোট বাজারে আসে।
এর আগে ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ টাকাকে ব্যাংক নোট থেকে সরকারি নোটে রূপান্তরের প্রস্তাবে সম্মতি দেন। এর পরই অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদের স্বাক্ষরে নতুন পাঁচ টাকার নোট ছাপার কাজে হাত দেয় সরকার।
নতুন ব্যাংক নোটে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা থাকে তিন জায়গায়। সামনের অংশে বাংলায় একবার, পেছনের অংশে একবার বাংলায় ও একবার ইংরেজিতে।
এছাড়া সামনের অংশে টাকার অংক উল্লেখসহ লেখা থাকে ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’। বাজারে প্রচলিত ৫ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার নোটে এগুলো আছে। কিন্তু সরকারি নোট হয়ে যাওয়ায় অর্থ সচিব স্বাক্ষরিত নতুন পাঁচ টাকার নোটে এই কথাগুলো থাকবে না। লেখা থাকবে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।’
এমইউএইচ/এসএইচএস/আরআইপি