ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রাজনৈতিক অস্থিরতা : রাজস্ব আদায় কমছে স্টক এক্সচেঞ্জে

প্রকাশিত: ০৩:১১ এএম, ০৯ মার্চ ২০১৫

ব্রোকারেজ হাউসের কর আদায়েও হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে। ফলে সরকারি খাতে তাদের রাজস্ব দেয়ার পরিমাণ কমে আসছে। আগের মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ হাউস, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কর আদায় কমেছে ৭৫ লাখ টাকা। এ সময়ে তারা সরকারকে ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে। আগের মাস জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে বাজারের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর সহিংসতা না কমলে এ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি মাসে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে কর আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর উদ্যোক্তা পরিচালক এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। দুই খাত মিলে কর আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আর ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ কমে ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় নেমেছে। এর মধ্যে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে কর আদায় ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

জানা গেছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য হাউসগুলোর লেনদেনের ওপর দশমিক ০৫ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়। অর্থাৎ কোনো ব্রোকারেজ হাউস ১ লাখ টাকা লেনদেন করলে ৫০ টাকা উৎসে আয়কর কেটে রাখা হয়। ফলে ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন যত বেশি হয়, করের পরিমাণ তত বাড়ে। এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং প্লেসমেন্ট শেয়ার নিলে তার জন্যও সরকারকে কর দিতে হয়। কিন্তু টানা রাজনৈতিক অস্থিরতায় লেনদেন একেবারে কমে এসেছে। ফলে কর আদায় কমেছে। কিছু কিছু ব্রোকারেজ হাউসে নামে মাত্র লেনদেন হচ্ছে। মুনাফা তো দূরের কথা এসব হাউসে আয়ের টাকা দিয়ে খরচ চালাতে পারছে না। এর মধ্যে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের বেতন বকেয়া হয়েছে। কেউ কেউ কর্মচারী ছাঁটাই করছে। 

জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক কারণে শেয়ারবাজারে প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে লেনদেন কমে আসছে। আর লেনদেন কমলে কর আদায় কমবে এটিই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা আতংকিত। ফলে ঝুঁকি নিয়ে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইবে না। ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বাজারের ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না।  সূত্র : যুগান্তর

এসএইচএ/এমএস