ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বাণিজ্য মেলায় স্টলের চাহিদা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে আগামী ১ জানুয়ারি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ব্যবসার অনুকূল  পরিবেশ থাকায় এবারের (২২তম) মেলায় স্টলের জায়গা বরাদ্দ পেতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে।

জানা গেছে, এবারের মেলায় জায়গা বরাদ্দ পেতে আবেদন করেছিলেন এক হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান। তবে জায়গা স্বল্পতায় সবাইকে বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে মেলা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবি’র উপ-পরিচালক ও এবারের মেলার সদস্য সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, এবার আবেদন জমা পড়েছে আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। বাণিজ্য মেলার আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের আবেদন থেকেই সেটা বোঝা যায়।

জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় স্টল বরাদ্দ পেতে মোট আবেদন পড়েছে ১ হাজার ২৭টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সাধারণ স্টলের জন্য। এবার সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান দেয়া হয়েছে ২৫৩টি। কিন্তু এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭১৭টি। অথচ গত বছর সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান ছিল ২৮৭টি, আর চূড়ান্ত বরাদ্দ দেয়া হয় ২৮৬টি।

এবার ফুড স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যানে মোট স্টল রাখা হয়েছে ২৪টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭৫টি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর আগের মেলাগুলোর চেয়ে এবারের মেলা জমে উঠবে। কারণ ২০১৪ সালে দেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। এ কারণে সে বছর বাণিজ্য মেলায় লোকসমাগমও ছিল তুলনামূলক কম। একই অবস্থা ছিল ২০১৫ সালেও। তবে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাণিজ্য মেলায় অতীতের যেকোনো মেলার চেয়ে ভালো কেনাবেচা হবে।

ইপিবি সূত্র জানায়, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে প্রস্তুতির কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এবারের আয়োজনের জন্য ইপিবি তাদের নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। গত মেলার লে-আউট প্লান দেয়া হয়েছিল ৫৬৮টি, কিন্তু চূড়ান্ত স্টল বরাদ্দ দেয়া হয় ৫৬৫টি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২০তম বাণিজ্য মেলায় পণ্য বিক্রি হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা। অথচ পরের বছর (২০১৬ সাল) ২১তম আসরে বিক্রি দ্বিগুণের বেশি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১২১ কোটি টাকায়। এ ছাড়া আগের আসরে ৯৫ কোটি টাকার রফতানি আদেশ এলেও ২১তম আসরে আসে ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার।

এমএ/এমএমজেড/এমএস