মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বেড়েছে নজরদারি
দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করতে সন্দেহভাজন লেনদেনের ওপর কঠোর নজরদারি রাখতে সম্প্রতি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সহিংসতা সৃষ্টি ও পরিকল্পনার জন্য দেশ ও বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাংক, হুন্ডি ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্তত এক লাখ মোবাইল ব্যাংক হিসাব এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই সব হিসাব খুলতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ৯৮ হাজার ২৮৩টি হিসাব চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), মোবাইল অপারেটর ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সন্দেহভাজনদের কার্যক্রম বন্ধ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে অর্থায়ন সন্ত্রাস ঠেকাতে এরই মধ্যে সব ব্যাংককে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও অর্থপাচার রোধকারী বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেছি। সন্দেহভাজন অর্থ লেনদেনকারীদের তথ্য সংরক্ষণ করে নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান রাজি হাসান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের গত ছয় মাসের আর্থিক বিশ্লেষণ প্রতিবেদন ও সন্দেহভাজন লেনদেনকারীদের তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন ঠেকাতে এরই মধ্যে আঞ্চলিক ব্যাংক কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিভিন্ন জেলার প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে ব্যাংক গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চাইতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সেবা ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়। ২৮ ব্যাংক এ সেবা ব্যবস্থা চালুর অনুমোদন পায়। এর মধ্যে ১৯টি ব্যাংক এ সেবা দিচ্ছে। দেশে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট রয়েছে, যাদের দুই কোটি ৫২ লাখ ৫৬ হাজার নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি ২১ লাখ ৫৪ হাজার গ্রাহকের হিসাব সচল রয়েছে বলে গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল।
গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যু ও আরো অনেকে আহত হয়েছেন। আর সহিংসতার কারণে দেশের অর্থনীতির সব খাতই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এএইচ/আরআই
সর্বশেষ - অর্থনীতি
- ১ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সমন্বিত পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন জরুরি
- ২ লক্ষ্মীপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি বাজুসের
- ৩ বিজিএমইএ প্রশাসক-তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশন প্রতিনিধিদলের বৈঠক
- ৪ সর্বাধুনিক মেশিনে আটা-ময়দা-সুজি উৎপাদন শুরু করলো প্রাণ
- ৫ রোববার থেকে ঢাকার ১৩ স্থানে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি