৯ ব্যাংককে সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশে চতুর্থ প্রজন্মের ৯ বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাগ্রেসিভ ঋণ বিতরণ বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- এনআরবি, এনআরবি গ্লোবাল ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন, মেঘনা, মিডল্যান্ড, মধুমতি, দ্য ফারমার্স ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সতর্ক করেন।
অ্যাগ্রেসিভ ঋণ বিষয়ে সতর্ক করে বৈঠকে বলা হয়, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংকগুলো কিছু কিছু অনিয়ম করেছে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। তা উত্তরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারা যেন বুঝে শুনে ঋণ বিতরণ করে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের বয়স প্রায় চার বছর। এ সময়ের মধ্যেই কয়েকটি ব্যাংকে ঋণ অনিয়ম, অ্যাগ্রেসিভ ঋণ বিতরণ, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা ব্যাংকগুলোর সুশাসনের ঘাটতি থেকেই হয়েছে বলে বিভিন্ন তদন্তে উঠে এসেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য দুর্বল দিকে নজর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান বলেন, এটি নিয়মিত বৈঠকের অংশ। ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে যেগুলোর কারণে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীভূত ঋণ বিতরণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, ‘মিটিংয়ে নতুন ব্যাংকগুলোর সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খেলাপি ঋণ, ছোটখাটো ভুল ত্রুটি, ঋণ বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।’
বৈঠকে আমরা দাবি জানিয়েছি গ্রাম ও শহরে শাখা খোলার অনুপাত ১ঃ২ করার। কৃষি ঋণে টার্গেট ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দেয়া যায় কিনা এটা বিবেচনা করার অনুরোধ করেছি। কারণ নতুন ব্যাংকগুলোর শাখা গ্রামে কম। এজন্য এই টার্গেট পূরণ বেশ কষ্টসাধ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়গুলো ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০১২ সালে অনুমোদন দেয়া হয় চতুর্থ প্রজন্মের নয়টি নতুন ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগের ব্যাংক রয়েছে তিনটি। বাকি ছয়টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা।
এসআই/জেএইচ/পিআর