তিন মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুন
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুন হয়েছে। জ্বালানি তেলের দর রেকর্ড পতনের পরও দেশের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এমনটি হয়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময় ছিল ১১২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ১১০ শতাংশ। ।
প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, এক মাস আগে তথা জুলাই-আগস্ট সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি ছিল মাত্র ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৮৪ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৩৫০ শতাংশ।
তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৭৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ৭৬৪ কোটি ডলার। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে রফতানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ সময়ে শুধু তৈরি পোশাক শিল্প খাতে রফতানি হয়েছে ৬৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য। যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ৬৪৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসেবে পোশাক খাতে রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
তথ্যে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ইপিজেডসহ পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ৮৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসেবে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এ সময় সেবা খাতে বিদেশি নাগরিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ১৪৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসেবে সেবা খাতে ব্যয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশ সেবা খাতে আয় করেছে মাত্র ৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরে একই সময় ছিল ৮৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসেবে সেবা খাতে বাংলাদেশের আয় কমেছে ২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এমএ/এমএমজেড/পিআর