ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে স্বপ্নের টানেল

প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেল নির্মাণ প্রকল্পের ডিজাইন রিভিউ ও নির্মাণ তদারকি কাজের পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডসের দুটিসহ মোট চারটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ সেবা দেবে। এজন্য মোট ব্যয় হবে ২৯১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য এবং সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমূল পরিবর্তন আসবে অর্থনৈতিক আঙিনায়। প্রতিষ্ঠিত হবে বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিস্তৃত হবে চট্টগ্রাম নগর। চাপ কমবে নগরের ওপর। কমবে শহরকেন্দ্রিক নির্ভরতা। বৃদ্ধি পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা।

এ বিষয়ে সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ করবে সরকার। জি টু জি ভিত্তিতে চীনের সাংহাই শহরের আদলে এ টানেল নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় তিন দশমিক ৪০ কিলোমিটার টানেল ছাড়াও ৮০০ মিটার সেতু এবং উভয় প্রান্তে চার দশমিক ৮৯২ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ টানেল নির্মিত হলে মূল শহরের সঙ্গে নদীর অপর প্রান্তের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

সূত্র জানায়, অনেকটা চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এ উন্নীত হবে। বিরাট এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চাইনিজ কোম্পানি ‘চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।’ সরকারি অর্থায়ন ও চায়না এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর টানেল নির্মাণে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়। এরপর চলতি বছরের ২৪ জুন সরকারি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিসিসি) সঙ্গে ৭০৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি অনুমোদন করে। এরপর ৩০ জুন কমার্শিয়াল চুক্তি সাক্ষর হয়। এরপর প্রকল্পের নকশা রিভিউ ও নির্মাণ তদারকি কাজের পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে তা নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

এমইউএইচ/এসএইচএস/আরআইপি