ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ব্রোকারেজ হাউসে আইপিও আবেদন

প্রকাশিত: ০৫:২৮ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

আগামী ১ এপ্রিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিওর আবেদন পদ্ধতি কিছু পরিবর্তনসহ অনুমোদন করেছে।

বিএসইসি’র ৫৩৬তম কমিশন সভায় মঙ্গলবার বিষয়টি অনুমোদন করেছে বলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশন আইপিও এর আবেদন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তনসহ অনুমোদন করেছে। আগামী ১ এপ্রিল ২০১৫ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। ফলে আবেদন জমা দেয়ার তারিখ থেকে রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সময়সীমা অনেকাংশ হ্রাস পাবে।

তবে প্রবাসী বাংলাদেশী বিনিয়োগকারী (এনআরবি) ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর জন্য আগের মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন জমা দেয়ার সুযোগ বহাল রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ অক্টোবর হামিদ ফেব্রিক্সের আইপিওর মাধ্যমে নতুন প্রক্রিয়ার পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়। সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ায় আগামী এপ্রিল থেকে সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন জমা নেওয়া হবে। ফলে এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের আর লাইন দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করতে হবে না।

এর আগে বিএসইসি নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন গ্রহণে ইচ্ছুক এবং যেসব হাউজের সফটওয়্যার হালনাগাদ আছে তাদের মাধ্যমে আবেদন জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজনের লক্ষ্যে গত ১৯ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনকে (বিএমবিএ) চিঠি দেয় বিএসইসি। পরে এসব স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন জমা নেওয়ার জন্য কতিপয় নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় চূড়ান্তভাবে নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

এদিকে, গত বছর ১৫ এপ্রিল বিএসইসির ৫১৫তম কমিশন সভায় নতুন আইপিও প্রক্রিয়ার খসড়া গাইডলাইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ১৬ এপ্রিল গাইডলাইনটির ওপর চূড়ান্ত মতামত জানাতে স্টেকহোল্ডারদের চিঠি দেওয়া হয়। ওই মতামতের ভিত্তিতে গাইডলাইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এসআই/এআরএস