আবারো বাড়ছে মুরগির দাম
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হলেও আজ (শুক্রবার) ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম।
শুক্রবার রাজধানীর বেশ ক’টি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়।
বিক্রেতা হযরত আলী বলেন, বন্যার কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় মুরগির দাম বেড়েছে।
মানিকদীর বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মী হোসেন মিয়া। শুক্রবার সকাল ১০টায় এসেছেন ভাষানটেক বাজারে। তিনি বলেন, মুরগির দাম দেখে অবাক হচ্ছি। মুরগি এখন টাকাওয়ালাদের খাবার। ছোট সাইজের একটি মুরগি নিলাম তাও আড়াইশ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শিমের দাম ৮০ টাকা। বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, শশা ৬০-৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৯০-১০০ টাকা।
এছাড়া কঁচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, প্রতি আঁটি লাউ শাক ৩০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রোকলি প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১২০-১৫০ টাকা, আইর মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০-১১০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ২২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০-৫০০ টাকা, শিং ৫০০-৭০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ ৮৫ টাকা, কাল জিরা প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায়। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৪০-৪৫ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৪৮-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরএম/একে/পিআর