ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি
মন্দাভাব কেটে গিয়ে দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছিল তা আবার কাটতে শুরু করেছে। সামষ্ঠিক অর্থনীতির সূচকগুলোও উর্ধমুখী। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তা শক্তিশালী না হওয়ায় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত কয়েক মাসে বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে। বেড়েছে ব্যাংকে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার। এতে বেসরকারী খাত ফের সচল হওয়ার সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
তবে অর্থনীতিকে ভীষণভাবে জাগিয়ে তোলার প্রক্রিয়ায় এখনও দুর্বলতা রয়েছে। গত পাঁচ জানুয়ারি দেশে সাধারণ নির্বাচন হলেও রাজনীতিকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা সেটি হয়ত এখনও রয়ে গেছে। এ কারণেই বেসরকারী খাত ঘুরে দাঁড়াতে সময় নিচ্ছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। তবে ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। এটিই এখন অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অর্থনীতি যে হারে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ৭ শতাংশে টেনে নিতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত জুলাই থেকে মে মাসে বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। একইভাবে আমদানিসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জুলাই-মে সময়ে তিন হাজার ৩১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি।