ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শিগগিরই ভোজ্য তেলে ভিটামিন ‘এ’ নিশ্চিত করা হবে : আমু

প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৫

সুস্থ-সবল জনগোষ্ঠি গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিগগিরই ‘ভোজ্য তেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন’ বলবৎ করে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ভোজ্যতেলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধকরণ’ বিষয়ক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জনগণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিজনিত রোগ-বালাই প্রতিরোধের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় গৃহিত ‘বাংলাদেশে ভোজ্যতেলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ বৈঠক আয়োজন করা হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, জনস্বার্থে এ আইনের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে, ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহারকারীর পরিমাণ শতকরা ৭৫ ভাগ থেকে ১০০ ভাগে উন্নীত করা হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ। এ জনসংখ্যাকে কর্মীর হাতিয়ারে পরিণত করতে হলে, জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে সরকার ভোজ্য তেলে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভোজ্য লবণে আয়োডিন মিশ্রণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রয়োজন। এসময়  তিনি করর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভোজ্য তেল রিফাইনারি মালিকদের বাধ্যতামূলকভাবে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণের পরামর্শ দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. লুৎফর রহমান তরফদার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক খন্দকার মুমতাহিনাহ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর বসন্ত কুমার কর।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পুষ্টি ঘাটতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ গৃহিত কর্মসূচি বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় মডেল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ‘ভোজ্য তেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন’ প্রণয়ন করেছে। এ আইন বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে তারা এর প্রয়োগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিতে মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান হাজার। এটি প্রয়োগ হলে, বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিজনিত রোগ-বালাই দ্রুত হ্রাস পাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। তারা এক্ষেত্রে জনমত গঠনে ইতিবাচক অবদান রাখতে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।