কুয়েতে বেক্সিমকোর ওষুধ রফতানি শুরু
কুয়েতে ওষুধ রফতানির যাত্রা শুরু করেছে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা। প্রাথমিকভাবে অ্যাজমা রোগের প্রতিষেধক অ্যাজমাসল ও বেক্সিট্রল এফ এবং ব্লাড প্রেসারের এমডোকাল রফতানি করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) কুয়েতে ওষুধ রফতানির যাত্রার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত।
উদ্বোধনী অনু্ষ্ঠানে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, বেক্সিমকো ফার্মার জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) শুভ দিন। এই দিনে কুয়েতে ওষুধ রফতানির যাত্রা শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য গালফ বা জিসিসি অঞ্চলের কোনো দেশে ওষুধ রফতানির প্রথম ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বাজারের তুলনায় কুয়েতে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ বেশি দামে ওষুধ রফতানি করা হবে। তবে কুয়েত অন্য যেসব দেশ থেকে ওষুধ আমদানি করে সে তুলনায় অনেক কম। এতে কুয়েতে ওষুধের মার্কেট ধরা সহজ হবে।
বর্তমানে ৫৩টি দেশে বেক্সিমকো ফার্মা থেকে ওষুধ রফতানি করা হয়। কুয়েতসহ এখন মোট রফতানি করা দেশের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪ তে। এসব দেশে ৬০০ প্রকারের ওষুধ রফতানির জন্য রেজিস্টার্ড করা আছে। দেশগুলোতে বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলারের ওষুধ রফতানি করা হয়। আগামী ৫ বছরে বাৎসরিক ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ৬৬.৬৭ গুণ রফতানি বৃদ্ধি পাবে।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেক্সিমকো ফার্মার ওষুধ রফতানি করা হয়। কোথাও ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। তাই কুয়েতেও ওষুধের বাজার নিয়ে আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত বলেন, বেক্সিমকো ফার্মার ওষুধের মান ভালো। অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেক্সিমকোর ওষুধ এগিয়ে রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেক্সিমকা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন ছাড়াও কোম্পানিটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউএইচ/আরএস/পিআর