মে মাসেও নেতিবাচক ধারায় রেমিটেন্স প্রবাহ
চলতি অর্থবছরে টানা পঞ্চম মাসে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সদ্য সমাপ্ত মে মাসে রেমিটেন্স কমেছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪২ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
মে মাসে প্রবাসীরা বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন ১২০ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ অর্থ; যা গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম থাকায় রেমিটেন্স কমছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে আগামী মাসে এই প্রবাহে ইতিবাচক ছোঁয়া লাগতে পারে। এরআগেও দেখা গেছে বিশেষ সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ১ হাজার ৩৪৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে দেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ ৪২ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ৩.০৪ শতাংশ কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেমিটেন্সের জন্য বাংলাদেশ অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল। এ নির্ভরশীলতা কমানো না গেলে বা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের উন্নতি না হলে আগামী অর্থবছরেও রেমিটেন্সে নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে আরো জানা গেছে, মে মাসে দেশের বেসরকারি মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে ২৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিটেন্স পাঠানোর তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক। ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে এই ব্যাংকের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের রেকর্ড ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিল। ওই অর্থবছরের মে মাসে ১৩২ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এমএ/এনএফ/এমএস