ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরবাইক কিওয়ে ১০০সিসি

প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ০৩ জুন ২০১৬

নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে মটরবাইক এর বিকল্প নেই। আর এই মোটর সাইকেলটি যদি হয় জ্বালানি সাশ্রয়ী তাহলেতো কথাই নেই। আর তরুণদের এই সাশ্রয়ী চিন্তা মাথায় রেখে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্পিডোজ বাজারে এনেছে হাঙ্গেরির বিখ্যাত মোটরবাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিওয়ের আরকেএস ১০০ (২০১৬)।

এর আগে কিওয়ের আরকেএস ১০০ সিসি বাইকটিও বেশ সাড়া ফেলেছিল। বাইক চালানোর জন্য মাইলেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর মাইলেজ নির্ভর করে মোটর বাইকের অবস্থা, রাস্তা, চালকের ওজন এবং পিলিওনের ওপর। অফিসিয়ালি প্রতি লিটারে যে পরিমাণ যাওয়ার ঘোষণা মোটর বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো দেয় সে অনুযায়ী মাইলেজ পাওয়া যায় না। কারণ মটর বাইক তৈরি করার পর যে রাস্তায় মাইলেজ পরীক্ষা করা হয় সে রাস্তা আর দেশের রাস্তা এক নয়। এর সাথে অন্যান্য বিষয়গুলোতেও পার্থক্য তৈরি হয়। কিওয়ে আরকেএস অফিসিয়ালি ৮৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়ার ঘোষণা দিলেও রাজধানীতে মাইলেজ পরীক্ষায় নতুন এই বাইকটি পাড়ি দিয়েছে প্রতি লিটারে ৭৪ কিলোমিটার।

২০১৬ সালের এই মডেলের বাইকটি প্রতি ঘণ্টায় আগের বাইকটির চেয়ে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার বেশি বেগে ছুটবে। বাইকটির ডিজাইনেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের মডেলের ১০০ সিসি বাইকে অর্ধেক চেইন কভার ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৬ মডেলে ব্যবহার করা হয়েছে ফুল চেইন কভার। পুরনো মডেলের বাইকে পেছনের চাকার সাইজ ছিলো ১১০-১৭। নতুন বাইকে পেছনের চাকার সাইজ ১০০-১৭। চিকন টায়ার ব্যবহারের কারণে বেড়েছে মটর বাইকটির গতি এবং মাইলেজ।

স্পিডোজ প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামান সৌদ খান বলেন, ‘আমরা প্রথম যখন কিওয়ে আরকেএস ১০০ সিসি বাজারে নিয়ে আসি তখন এই বাইকটির বেশিরভাগ গ্রাহক ছিল ১৮ থেকে ২৫ বছরের তরুণরা। সেজন্য মাইলেজের চেয়ে স্টাইলের দিকে আমরা নজর দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা গ্রাহকদের বয়স সীমা ১৮ থেকে ৪০ করেছি। এক্ষেত্রে ডিজাইনের সঙ্গে আমরা মাইলেজের ওপরও জোড় দিয়েছি।’

আগের ১০০ সিসির বাইকে উইন্ডশিল্ড ছিল না। নতুন বাইকটিতে উইন্ডশিল্ড দেয়া হয়েছে। পুরনো মডেলের বাইকের স্টিকারগুলো সাদামাটা হলেও নতুন ডিজাইনে বাইকটিতে ব্যবহৃত হয়েছে আকর্ষণীয় স্টিকার। বাইকটির লুকিং আগের চেয়ে স্টাইলিশ করা হয়েছে।

স্পিডোজ লিমিটেডের রয়েছে ২০০ এর বেশি সার্ভিস সেন্টার। তাই সারাদেশেই মিলবে বিক্রয়োত্তর সেবা। বাইকটির মূল্য ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। বাইকটি পাওয়া যাবে স্পিডোজের মহাখালির প্রধান শো রুমসহ সব ডিলার পয়েন্টে।

আরএম/এআরএস/পিআর