ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বাজেটের প্রভাব পড়েনি নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ এএম, ০৩ জুন ২০১৬

রাজধানীতে নিত্যপণ্যের বাজার মোটামুটি আগের মতোই চলছে। বিশেষ করে কাঁচা বাজারে গতকাল প্রস্তাবিত বাজেটের কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পরদিন শুক্রবার বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দামই ছিল স্থিতিশীল। গুঁড়া দুধসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা যায়নি।

রাজধানীর মিরপুর, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া ও কচুক্ষেত বাজারের একাধিক দোকানের বিক্রয়কর্মী  জানিয়েছেন, গুঁড়া দুধসহ মোড়কজাত পণ্যের দাম মোড়কে লেখা থাকে। ওই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। একই কারণে মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিরও সুযোগ নেই। কোম্পানির পক্ষ থেকে এসব পণ্যের মোড়কে নতুন দাম লেখা হলে তবেই তা নতুন দামে বিক্রি হবে।

শুক্রবার মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, গত মাস থেকেই ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে শুরু করে। ৫ টাকা, ১০ টাকা করে বাড়তে বাড়তে এখন ১২০ টাকার মুরগির দাম এখন ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

তবে মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৯০ টাকা, দেশি মুগ ডাল ১২০ টাকা, আমদানি করা মুগ ডাল ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলু ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে প্রতি কেজি পটোল ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কচুক্ষেত বাজারে জোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে এক হাজার ৫শ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য মাছের মধ্যে আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি আকার ও প্রকারভেদে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া সয়াবিন, আটা, চিনি, চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।  

আরএম/এনএফ/এমএস