ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সাড়ে ৬শ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ০২ জুন ২০১৬

আগামী অর্থবছরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শিক্ষার সুষম সুযোগ বাড়নোর জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ বরাদ্দ ঘোষণা করেন।  

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি।  তাই সামগ্রিক শিক্ষাখাতের ব্যয়কে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এ খাতের উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।

শিক্ষা সহায়তায় বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবসর সুবিধা বোর্ড’র অনুকূলে ৫০০ কোটি টাকার এনডাওমেন্ট ফান্ড এবং ১০০ কোটি টাকা এককালীন অনুদান প্রস্তাব করছি। আর ‘বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্টে’ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন মুহিত।

প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নানা পরিকল্পনার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। সব প্রাথমিকে প্রাক-প্রাথমিক চালুকরণসহ কারিকুলাম প্রণয়ন, বই মুদ্রণ এবং প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করার কথা জানান তিনি।

আরও প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের কথাও বলেছেন মন্ত্রী।

প্রাথমিক শিক্ষা ২০১৮ সালের মধ্যে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করতে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ৭৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি চালু করা হয়েছে।  

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, শিক্ষক নিয়োগ-প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহিত।

এছাড়া ভর্তির হার বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখার জন্য উপবৃত্তির পাশাপাশি স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং বেসরকারি ও ব্যক্তিখাতকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জাতীয় স্কুল ফিডিং নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।

নিরক্ষরতা মুক্তের জন্য ১৫- ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর জনগণকে মৌলিক স্বাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাখাতে একটি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

৬৩ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে ব্যক্তিখাতে উদ্যোগ বাঞ্চনীয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জরাজীর্ণ বিদ্যালয় সংস্কারের ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মোট ২৬ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকার মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ২০ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ১৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।

আর প্রাথমিক স্তরে এবার মোট ২২ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ১৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ১৬ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ১১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য পড়তে ক্লিক করুন...


এইচএস/একে/আরআইপি

আরও পড়ুন