বাংলা বছরের শেষ দিন
শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন, কমেছে লেনদেন

বাংলা সন ১৪৩১-এর শেষদিন রোববার (১৩ এপ্রিল) দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য মোটেও ভালো যায়নি। বছরের শেষদিনে শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। তবে লেনদেনের আধাঘণ্টার মধ্যে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের শেষদিকে দরপতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ভালো, মন্দ, মাঝারি সব শ্রেণির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়। পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডেও ঢালা দরপতন হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এতে দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭০টির। আর ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১৩৮টির দাম কমেছে। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ১২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৬৩টির দাম কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এছাড়া বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ৩টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২৫টির এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সার্বিকভাবে দাম কামার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বিজ্ঞাপন
মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬ লাখ টাকার। ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, শাইনপুকুর সিরামিক, বিচ হ্যাচারি, মালেক স্পিনিং, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
বিজ্ঞাপন
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
এমএএস/এমআইএইচএস/জেআইএম
বিজ্ঞাপন