রমজান উপলক্ষে মুরগির দাম চড়া
চাল ডাল তেল আটা চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকলেও রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে মুরগির দাম। কিছুদিন আগেও যে মুরগির দাম ছিলো কেজি প্রতি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। দামে বেড়ে আজ শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৯০ টাকা। রাজধানীর ভাষানটেক, কাফরুল, কচুক্ষেত, মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
সবজি বাজারে আগাম রোযার কোন প্রভাব না পড়ার কারণ জানতে চাইলে মহাখালী কাঁচাজারের সবজি বিক্রেতা জহির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ আগের মতোই রয়েছে। সে কারণে দাম স্বাভাবিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাক সবজির দাম তেমন বাড়েনি। টমেটো ৩০-৩৫ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে গাজরের দাম। প্রতি কেজি ২৫ টাকা। বরবটি, পটল ও ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। করলা ৪০ টাকা। পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। শসা ৪০ টাকা। লেবু প্রতি হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা। বেগুন ৪০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন ও ডিম আর গরুর মাংস।
দেশি পেঁয়াজ ৪২ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ২৪ থেকে ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগি ও হাসের ডিমের হালি ৩৫ টাকা, ডজন ১০৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা।
এ সপ্তাহে দেশি রসুন ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়।
বাজারে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে ফার্মের মুরগি। ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি পিস ২০০ টাকা এবং কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে। এ সপ্তাহে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি। তবে খাসির মাংস পূর্বের দামে ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কচুক্ষেত বাজারের মুরগি বিক্রেতা আজিম মোল্লা বলেন, রমজান উপলক্ষে পাইকারী ব্যবসায়ীরা মুরগি সরবারহ কমিয়ে দিয়েছে। যার কারেণ বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে বাজারে প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
আরএম/জেএইচ/এমএস