সিদ্ধিরগঞ্জে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ : আটক ২
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকায় হাত-পা বেঁধে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণকারীরা ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিন ও ভাড়াটিয়া ধর্ষক টিটুর স্ত্রী মুন্নিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার ঔ শিশু ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬-৭ দিন আগে তার বড় বোনের মিজমিজি পূর্বপাড়ার আলাউদ্দিন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে বেড়াতে আসে। একই বাড়ির ভাড়াটিয়া টিটু ১১ মে বুধবার বাসায় একা পেয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে। ধর্ষক এসময় ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে।
পরে টিটু ঐ ভিডিওচিত্র দেখিয়ে ওই শিশুকে আরো কয়েকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিনকে ওই শিশুর বোন জানালে আলাউদ্দিন দেখবে বলে জানায়। কিন্তু ১৫ মে বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিন ঐ শিশুকে বাসার একা পেয়ে র্ধষণ করে। এরপর থেকে ঐ শিশুটি ভয়ে ফতুল্লা মামুদপুরের ফুফুর বাড়িতে চলে যায়।
মঙ্গলবার আবারো সে মিজমিজির ওই বাসায় আসলে টিটু ধর্ষণের ভিডিও চিত্র দেখিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করতে তার ঘরে ঢুকলে বাহির থেকে ঘর আটকে দেয় ঔ শিশুর বোন। পরে ধর্ষণকারী টিটুর স্ত্রী মুন্নি তার স্বামী টিটুকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিন ও তার ভাড়াটিয়া টিটুর স্ত্রী মুন্নিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকিকুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, ১১ বছরের শিশুটি ধর্ষণের ঘটনাটি পুলিশের কাছে বর্ণনা দিয়েছে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করেছে বলেও পুলিশকে জানায়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক আলাউদ্দিন ও টিটুর স্ত্রী মুন্নিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. সরাফত উল্লাহ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ধর্ষিতাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে আসে। থানায় এসে ধর্ষিতা স্বীকারোক্তি দিয়েছে টিটু তাকে একাই ধর্ষণ করেছে। টিটু পালিয়ে যাওয়ার সহযোগিতার অভিযোগে আলাউদ্দিন ও ধর্ষক টিটুর স্ত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে।
হোসেন চিশতী সিপলু/এসএইচএস/পিআর