ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হঠাৎ ডাকাত আতঙ্কে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং

জেলা প্রতিনিধি | বরগুনা | প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫

বরগুনা জেলার সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সন্ধ্যার পর থেকেই হঠাৎ ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। আতঙ্কের কারণে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়। এ ঘটনায় পুরুষরা এলাকার মধ্যে দলে দলে পাহারা বসান। তবে বরগুনায় ডাকাতির কোনো ঘটনা নেই জানিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে বলেছে পুলিশ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের পাহারা বসাতে দেখা গেছে। এতে সদর উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত ১০টায় বরগুনা সদর উপজেলার ৪নং কেওরাবুনিয়া, ৭নং ঢলুয়া, ৯নং এম বালিয়াতলি, ১০ নম্বর নলটোনা ইউনিয়নের মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এরপর থেকেই এলাকায় এলাকায় পাহারাদার দল গঠন করে রাতভর পাহারা দেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ের মধ্যে রাত কাটান। এলাকাবাসীর একাংশ মনে করছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু ব্যক্তি এই গুজব ছড়াচ্ছে, যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বরগুনার পিটিআই এলাকার মো. উজ্জল নামের এক ব্যবসায়ী জানান, রাত ৯টার পর বাসায় ঢোকার পরেই ফেসবুক ও বিভিন্ন স্বজন ফোন করে জানায় এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে। এরপর থেকে আমরা এলাকাবাসী মিলে এই শীতের রাতেও সারারাত পাহারা দিয়েছি। সাধারণ মানুষ বাসা বাড়িতে কেউ ঘুমাতে পারেনি।

ঢলুয়া ইউনিয়ন থেকে ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন বলেন, এলাকায় মাইকিং করার খবর শুনে আমরাও এলাকায় পাহারা দিয়েছি। কিন্তু সেভাবে অস্বাভাবিক কিছুই দেখিনি। আমার মনে হয় এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ গুজব ছড়িয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এ বিষয়ে সচেতন আছি।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম জাগো নিউজকে বলেন, বছরের সাধারণত এই সময়ে মাঠঘাট শুকিয়ে যায়, তাই চুরি-ডাকাতির প্রবণতা একটু বাড়ে। এ সময়ে মানুষের মাঝে আতঙ্কটাও একটু বেশি থাকে। গতকাল রাতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সারারাত বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছি। আমি নিজে এলাকায় পাহারারতদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে এই গুজবে কোনো অঘটন না ঘটে, সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছি। পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। পুলিশ সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

নুরুল আহাদ অনিক/এফএ/এএসএম