ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জে নতুন দুর্বৃত্ত চক্র গডফাদার হতে মরিয়া: রফিউর রাব্বী

জেলা প্রতিনিধি | নারায়ণগঞ্জ | প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫

ওসমান পরিবার হত্যা, চাঁদাবাজি, দখল, নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। আজ তারা পালিয়ে গেলেও নতুন দুর্বৃত্ত চক্র আবার নারায়ণগঞ্জে গডফাদার হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪২ মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এই আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রফিউর রাব্বি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে দুর্বৃত্ত, মাফিয়া, গডফাদারদের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার নির্দেশে সাড়ে ১১ বছর ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিচার প্রক্রিয়া আবার শুরু করলেও তাতে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। নিয়োগ বাণিজ্য করছে সিটি কর্পোরেশন। এসব তদারকি করার কেউ নেই। প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিষ্ক্রিয়।

তিনি আরও বলেন, ঘাতক ওসমান পরিবার পালিয়ে গেলো কীভাবে, কাদের সহযোগিতায়? গত পনের বছর হত্যা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকা ওসমানদের সহযোগী কেউই গ্রেফতার হয়নি, আইনের আওতায় আসেনি। তাহলে চব্বিশের এত মৃত্যু, এত আত্মদানের ফলাফল কী? এ অভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।

সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায় ও সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুইদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকীর মরদেহ উদ্ধারের পর ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

পরে ওই বছরের ১৮ মার্চ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জহিরুল ইসলাম পারভেজ ওরফে ক্যাঙারু পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাত বিন ওসমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন ত্বকীর বাবা। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/এএসএম