ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কিশোরীকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন যুবক গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন চকরিয়ার টুটিয়াখালী পাড়ার ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়া পাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭) ও কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩)।

এদিকে ওই কিশোরীকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে ৫ জানুয়ারি বাঁশখালীতে বোনের বাড়ি বেড়ানো শেষে মহেশখালীর বাড়ি ফিরছিলেন ওই কিশোরী। রাত ১০টার দিকে চকরিয়ার বদরখালী বাজারে বাস থেকে নামার পর বদরখালী ফেরিঘাট থেকে মহেশখালীগামী অটোরিকশায় উঠেন তিনি। পরে সেতুর ওপর গিয়ে গাড়ি নষ্ট হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে চালক অটোরিকশা বন্ধ করে দেন। এসময় চার যুবক এসে মুখ চেপে ধরে ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে সড়কের পাশে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার জানায়, নিপীড়নের শিকার মেয়েটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ভয় ও আতঙ্কে চমকে উঠছে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ছাত্র-জনতা সোমবার দুপুরে চকরিয়ার বদরখালী-মহেশখালী ব্রিজ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে সড়ক থেকে ব্যারিকেড তুলে নেন ছাত্র-জনতা।

স্থানীয় লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই কিশোরীকে বহন করা অটোরিকশা চালকের নাম সায়মন। এ ঘটনায় অটোরিকশাচালক জড়িত থাকতে পারেন। তাদের দাবি, বদরখালী এলাকায় সন্ত্রাসীদের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট রয়েছে। কয়েকজন যুবক এ সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধ করে থাকেন।

চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা শোনার পর রাতে সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) রাকিব উর রাজাসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের কিছু আলামত পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের চিরুনি অভিযান চলছে।

ওসি আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করেছে।

সায়ীদ আলমগীর/জেডএইচ/এএসএম