ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জে তৈমূরের ভাই হত্যা

৯ তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন, ২২ বছর পর খালাস সব আসামি

জেলা প্রতিনিধি | নারায়ণগঞ্জ | প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

 

নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই ও ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ছিলেন। সেইসঙ্গে তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আজিজুল হক হান্টু বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম খান রেজা বলেন, এটা ছাত্রদল নেতা জাকির খানের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ছিল। যার কারণে বাদীপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে আদালত এই মামলায় সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, সাব্বির আলম ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নিয়ে লড়তে গিয়ে নিজের জীবন দিয়েছেন। অথচ এখন বিকেএমইএ’র যারা শীর্ষ নেতা রয়েছেন তারাই এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঝুটের ব্যবসা করছেন। দেশের বর্তমান বিচার বিভাগ সবারই জানা। আমাদের দেশের সুপ্রিম কোর্টও রাজনৈতিক বিবেচনায় চলে।

তিনি আরও বলেন, এখন আমরা ক্ষমতায় নাই, তাই এ নিয়ে চিন্তা করার কী আছে। তবে আমি দেখছি এটা নিয়ে আর কী করা যায়। আমি এর আগে একাধিকবার বলেছিলাম, সাব্বির হত্যার বিচার না হলে বাংলাদেশের আর কেউ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। যে রায় দেওয়া হলো আগামীতে মানুষ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাবে না।

এর আগে ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি মো. গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল ও শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খান, মোক্তার হোসেন ও জঙ্গরসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়।

প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার ছিলেন দেশের গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ও সাবেক সহসভাপতি। ২০০৩ সালের শুরুর দিকে অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালে একটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে সাব্বির আলম নিজের জানাজায় সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।

 

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/জেআইএম