ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চুরির অভিযোগে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুর | প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অটোরিকশার ব্যাটারি চুরির অভিযোগে আবুল কলাম (৪০) নামে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মধ্য কাঞ্চনপুর এলাকার একটি সুপারি বাগান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাংলাবাজার এলাকা থেকে জিসান নামে এক ব্যক্তিসহ ৫-৬ জন কালামকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ তার স্ত্রী রেহানা আক্তারের।

নিহত কালাম উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের ছানা উল্যা পাটোয়ারীর ছেলে ও পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। পরিবার নিয়ে তিনি হায়দরগঞ্জ বাজার এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার রাতে রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকা থেকে মাসুদ আলম নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হয়। রোববার বিকেলে জিসান নামে এক যুবক স্থানীয় ভূঁইয়ার রাস্তায় একটি দোকানে চুরি হওয়া ব্যাটারি বিক্রি করতে যান। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে। পরে কালামসহ আরও কয়েকজন ব্যাটারি চুরির সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি। এতে রাতে জিসানসহ অন্যরা গিয়ে কালামকে তাকে তুলে আনে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় দুজন বাসিন্দা জানান, মাসুদের ব্যাটারির চুরির অভিযোগে কালামকে ধরে এনে রাতভর বাগানে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। সকালেও তাকে মারধর করা হয়েছে। একপর্যায়ে মারা যান কালাম।

নিহতের স্ত্রী রেহানা আক্তারের অভিযোগ, হায়দারগঞ্জের ভাড়া বাসা থেকে জিসান নামে এক ব্যক্তি দলবল নিয়ে কালামকে মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় তারা পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখায়। অপহরণকারীরা তাদের জানায়, ‘কয়েকদিন আগে কালাম একটি অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করেছে, এজন্য ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’। পরে তাকে একটি বাগান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।

রেহানা আরও বলেন, সকালে আমি কাঞ্চনপুরে গিয়ে দেখি একটি সুপারি বাগানের মধ্যে জিসানের নেতৃত্বে লোকজন আমার স্বামীকে পেটাচ্ছে। আমার স্বামী কাতর কণ্ঠে পানি চেয়েছিল, কেউ দেয়নি না।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মোবাইলে খবর পাই এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার জন্য বলি। হাসপাতালে আনার পথেই মারা যায়। নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কাজল কায়েস/জেডএইচ/এএসএম