ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও সমন্বয়ক’

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় দায়িত্ব পালন করা এক সহ-সমন্বয়কের বাড়ির দেওয়ালে গ্রাফিতি এঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন সদর থানার এস আই মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে আহসান হাবিবের বাড়িতে আসি এবং ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও সমন্বয়ক’ লেখাটি দেখতে পাই।

হুমকি পাওয়া সমন্বয়কের নাম আহসান হাবিব (২৪)। তিনি সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের গফুর প্রামাণিকের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। আহসান হাবিব সরকারি আজিজুল হক কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বগুড়া জেলার সমন্বয়ক ছিলেন।

তিনি বলেন, গতকাল রাতের কোনো এক সময় ঘরের দেওয়ালে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ এমন লেখাটি দেখতে পেয়ে আমার ভাবি আমাকে জানান। বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। পরিবারের পরামর্শ নিয়ে জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আহসান হাবিব আরও বলেন, বর্তমান ছাত্র সমাজকে ধ্বংস করার জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমি নিজেও একজন ছাত্র। আজ আমাকে হুমকি দিয়েছে, কাল আমার অন্য ভাইকেও হুমকি দিতে পারে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

jagonews24

এ বিষয়ে আহসান হাবিবের বড় ভাই শাহাদত হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই ছাত্র আন্দোলনের সময় সক্রিয় ছিল। সে বিভিন্ন এলাকায় সরকার পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। মূলত সেই পরিপ্রেক্ষিতেই স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে এমন কাজ করেছে। আমার ভাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার পরও যদি হত্যার হুমকি আসে তাহলে দেশকে স্বাধীন করে আমরা কী পেলাম?

আহসান হাবিবের মা আবেদা খাতুন বলেন, আমি আন্দোলনের সময় তাকে অনেক নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। সে বলতো, তোমার চার সন্তানের মধ্যে এক সন্তান মারা গেলে কিছু হবে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত। ওর বাবা অসুস্থ। আমরা ওকে নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া মুখপাত্র) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, এরইমধ্যে জেলা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সদর থানা পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

এফএ/জেআইএম