পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
মাদারীপুরের শিবচরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্মৃতি মণ্ডল (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রিনয় গিরি (৪২) পলাতক।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত স্মৃতি মণ্ডল শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের চর কমলাপুর গ্রামের বৃন্দাবন মণ্ডলের মেয়ে। অভিযুক্ত রিনয় গিরি একই উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জিতেন গিরির ছেলে। তাদের ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১০ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে স্মৃতি মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় রিনয় গিরির। বিয়ের পর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে স্মৃতিকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে রিনয়ের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশ বসলেও কোনো সমাধান হয়নি।
চার বছর আগে এক ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন রিনয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে স্মৃতির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। এ নিয়ে পরিবারের কাছে বিচার দিলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রিনয়। এরই জেরে রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে স্মৃতিকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঘরে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান রিনয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত স্মৃতির বড় বোন ইতি মণ্ডল বলেন, ‘আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। রিনয় অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত। এর প্রতিবাদ করাই আমার বোনকে হত্যা করেছে, ঝুলিয়ে রেখেছে। এই ঘটনার বিচার চাই।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রিনয় গিরি পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ভাস্কর সাহা বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসআর/এএসএম