ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি | গাজীপুর | প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হত্যা মামলার পরপরই রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা। তার বাবার নাম নুর মোহাম্মদ।

এর আগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও সাদ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন তিনজন।

এ ঘটনায় মাওলানা সাদের ২৯ অনুসারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকশ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় ৫ নম্বর আসামি মোয়াজ বিন নুর।

মামলাটি করেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী কিশোরগঞ্জের এস এম আলম হোসেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, মামলার পরপরই মোয়াজ বিন নূরকে উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিরা মাওলানা সাদের অনুসারী। তারা গত ৪ ও ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় বাধা দিতে এবং ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করেন। তারা সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে ২০-২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থিদের জোড় করার মর্মে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা করতে থাকেন। মামলার প্রধান আসামি ওয়াসিফুল ইসলাম তার সই করা চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদপন্থিদের জানান যে, আগামী ২০-২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানেই পুরোনোদের জোড় হবে। পুরোনোদের সঙ্গে যেন মোনাসেব সাথিদেরও নিয়ে আসে এবং তাদের সঙ্গে টর্চ লাইট ও হ্যান্ডমাইক যেন থাকে।

মামলার ২ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহ মনসুর ফেসবুক লাইভে ঘোষণা দেন, পুরোনোদের জোড়ে এবং বিশ্ব ইজতেমায় যদি মাওলানা সাদকে আনতে দেওয়া না হয়, তাদের যদি টঙ্গী ময়দানে ২০-২৪ ডিসেম্বর জোড় করতে দেওয়া না হয়, তাহলে তারা বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব হতে দেবে না।

তাদের এসব উসকানিমূলক বক্তব্যে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত ও পাহারারত জুবায়ের অনুসারীদের ওপর হামলা করা হয়। এসময় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৬৫), ফরিদপুর সদর উপজেলার বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়া সদর উপজেলার তাজুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/জিকেএস