বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার পায়ের রগ কর্তন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সেলিম রেজা নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের পর দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সয়দাবাদ পুনর্বাসন গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। আহত সেলিম রেজা একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পূর্বমোহনপুর গ্রামের হারু সেখের ছেলে।
আহতের ছেলে আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, ৩০-৩৫ জন বিএনপির নেতাকর্মী আমাদের বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা বাবাকে বেধড়ক মারপিট করে দুই পায়ের রগ কেটে পূর্ববাঐতারা স্কুলের সামনে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা বলেন, আহত সেলিম সিরাজগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনদিন আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সেলিম ছাত্র আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা রঞ্জু ও ২০১৪ সালে নিহত ইউনিয়ন যুবদল নেতা জবান আলী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এলাকায় আসার পর স্থানীয় জনতা না কি তাকে মারধর করেছে বলে শুনেছি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, সেলিম রেজাকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম এ মালেক/জেডএইচ/জিকেএস