ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাটোরে দুদিনে ২৮ সেচযন্ত্র চুরি

জেলা প্রতিনিধি | নাটোর | প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রামে গত দুদিনে কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ডিজেলচালিত ২০টি সেচযন্ত্র (শ্যালো মেশিন) চুরি হয়েছে। এতে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল-আগ্রান বিলের দেড়শ এবং গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি বিলের তিনশ বিঘা জমির ফসলে সেচ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এর এক সপ্তাহ আগে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের রোলভা বিল থেকেও আটটি সেচযন্ত্র চুরি হয়।

চুরির ঘটনায় প্রতিকার পেতে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের আগ্রান-পারকোল বিল থেকে পারকোল গ্রামের কৃষক অরুণ মিয়া, জিয়াউর রহমান, জামান হোসেন, বদর আলী, আগ্রান গ্রামের সবুর আলী ও আজাহার আলীর সাতটি সেচযন্ত্র এবং মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি বিল থেকে কৃষক আহসানুল আমিন, নঈম উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, খালেদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মিলন হোসেন, সাইদুল ইসলাম, রনি, আরমান মোল্লা, মিজানুর রহমান ও ইয়ার আলীর ১৩টি সেচযন্ত্র চুরি হয়।

পারকোল গ্রামের জিয়াউর রহমান ও গড়মাটি গ্রামের খালেদ হোসেন জানান, শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে তারা যুগ যুগ ধরে ফসল আবাদ করে আসছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে আনা নেওয়ার সমস্যার কারণে তারা মেশিনগুলো বস্তা দিয়ে ঢেকে বিলেই রেখে যান। আগে কখনো এমন চুরি হয়নি। মেশিনগুলোর মধ্যে নতুনগুলোর একেকটির দাম ২০-২৫ হাজার এবং পুরাতনগুলোর ১০-১৫ হাজার টাকা। চাষাবাদের ভরা মৌসুমে এমন চুরির ঘটনায় দরিদ্র কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

আরেক কৃষক আহসানুল আমিন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি (সেচ) দিয়ে ১১টার দিকে বাড়ি গেছি। রাতেই বিল থেকে ১৩টি মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে।’

কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, শ্যালো মেশিনগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০০ বিঘার জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব জমিতে রসুন, গম, ভুট্টাসহ চৈতালি ফসল রয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সেচযন্ত্র চুরির খবর পেয়েছি। দ্রুত চোরদের শনাক্ত করে সেচযন্ত্রগুলো উদ্ধার করতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, চোর চক্রকে ধরতে আমরা মাঠে নেমেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই চোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে আশা করি।

রেজাউল করিম রেজা/এসআর/এমএস