২০ ডিসেম্বর থেকেই জোড় ইজতেমা করবেন সাদপন্থিরা
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পাঁচদিনের জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলেন সাদপন্থিরা। ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের এই জোড় ইজতেমা শুরু হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মাওলানা সাদ অনুসারী মুফতি মুয়াজ বিন নূর। তবে বুধবার ভোরে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের দায় নেননি সাদ অনুসারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সাদ অনুসারী মুফতি মুয়াজ বিন নূর বলেন, বিশ্ব ইজতেমার আগে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাবলীগের সাথীরা ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে এসে অবস্থান নেন। রাতে তারা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলে জুবায়ের অনুসারীদের লোকজন সাদ অনুসারী মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাদ অনুসারী সাথীরা জুবায়ের অনুসারীদের ধাওয়া দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করেছি, আমরা জোড় ইজতেমা করেই ফিরবো।
তবে এই হতাহতের দায় তারা নিচ্ছেন না। যারা নিরীহ মুসল্লিদের ওপর প্রথমে হামলা করেছে তারাই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে তিনি জানান।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বাসিন্দারা।
টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার দুই পক্ষের মুসল্লিরা যেভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন এতেই আমরা আতঙ্কগ্রস্ত।
মিলগেট এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। হাজার হাজার মুসল্লিদের মধ্যে কারা কোন পন্থি এটা বোঝার উপায় নেই। সরকারের উচিত অবিলম্বে দুই পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতা করা।
অপরদিকে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য চার প্লাটুন বিজিবি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও ইজতেমা ময়দানের আশপাশে মোতায়েন রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম