ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ছাত্র আন্দোলন

আহতকে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুটি গ্রামে তরিকুল ইসলাম সুজন (৩৫) নামের এক যুবক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ঢাকার মিরপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হন। তাকেসহ তার গ্রাম থেকে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাদের গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তরিকুল ইসলাম সুজন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

কথা বলে জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত। তিনি নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুটি গ্রামের আবু জাফর মোল্যার ছেলে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুরের আলোক হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। তাকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসাধীন। তার শরীরে এখনো গুলি রয়েছে। সেগুলো বের করা যায়নি।

ছাত্র আন্দোলন, আহতকে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

তরিকুল ইসলাম সুজন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম তার গ্রামের বাড়িতে যান এবং বাড়ির উঠানে একটি সভা করেন। ওই সভার একটি ভিডিও ফুটেজ তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ফেসবুকে ওই সভার ভিডিও পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরে পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু তাকে ফোন করেন।

তিনি আরও বলেন, “চেয়ারম্যান লাবলু আমাকে বলেন, ‘তুই বড় নেতা হয়ে গেছিস। তোর কত বড় সাহস তুই আমার নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর এলাকায় শামা ওবায়েদকে এনে সভা করেছিস? যারা এই এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হবে।”

ছাত্র আন্দোলন, আহতকে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলুর মোবাইলে বারবার কল করেও পাওয়া যায়নি। নম্বাটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এসআর/জেআইএম