টেকনাফের তিন কৃতী সন্তানকে সংবর্ধনা
টেকনাফের নাম এলেই মাদকস্থল হিসেবে সবাই বাঁকা চোখে থাকায়। এখানকার অধিবাসী বললে মনে করে, কোনো না কোনোভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িত। সেই তকমাকে পেছনে ফেলে সীমান্ত উপজেলার হ্নীলা থেকে যে কারও উঠে আসা সহজ বিষয় নয়। তবে অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায়ের বলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হ্নীলার তিন কৃতী সন্তান। এ ত্রিরত্ন এলাকার মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা থেকে সহকারী জজ পলিনা আকতার স্মৃতি ও জয়নাল আবেদীন আল মারুফ এবং ৪১তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত নুরুল মোস্তফা বিন বশিরকে দেওয়া সংবর্ধনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে লাবণী পয়েন্টের হোটেল মিশুকের কনফারেন্স হলে তাদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সরওয়ার কামাল সিকদারের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সাংবাদিক ছৈয়দ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন কাদেরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হ্নীলা শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান মাদানী এবং রঙ্গিখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সহকারী জজ পলিনা আকতার স্মৃতি (কর্মস্থল মাদারীপুর) ও জয়নাল আবেদীন আল মারুফ (মৌলভীবাজার) এবং কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে কর্মরত নুরুল মোস্তফা বিন বশির অভিভাবকদের নিয়ে উপস্থিত হন। পরে তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।
সায়ীদ আলমগীর/এসআর/জিকেএস