পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বিনিময়ে মিলছে চাল-ডাল-ডিমসহ ১৯ পণ্য
টেকনাফের নাফ নদী সংলগ্ন বিজিবি মাঠে বসেছে বাজার। এ বাজারে মিলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এসব পণ্য আবার পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বিনিময়ে কেনা যাচ্ছে। ১ কেজি প্লাস্টিকের দাম ২০-৩০ টাকা হলেও এই বাজারে প্রায় ৫০-৮০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ১ কেজি প্লাস্টিক দিয়ে ১ কেজি চাল যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি ৬টি ডিম পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ কেজি প্লাস্টিকে। এভাবে প্রায় ১৯টি পণ্য নিতে পারছে সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন স্থানে দূষণরোধে এই উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৭০০ স্থানীয় দুস্থ পরিবার প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার করতে পেরেছে।
এই আয়োজন থেকে প্রায় পাঁচ টনের বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই প্লাস্টিক পুরোটাই রিসাইকেল করা হবে। দুপুরে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, নদীমাতৃক এই দেশের প্রাণ প্রবাহ বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণে বিপন্ন প্রাণিকুলকে রক্ষা করা দরকার। সমাজ ও দেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হলে সচেতনতা এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
বিদ্যানন্দের বোর্ড সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা এতই যে, এটি সরকারের একার পক্ষে রোধ করা অসম্ভব। এই দূষণ কমাতে দরকার জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা। তাই মানুষকে সম্পৃক্ত করতেই আমরা সারাদেশে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর চালু করছি। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। আশা করছি এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্বন্ধে আমরা জনগণকে ধারণা দিতে পারবো।
জাহাঙ্গীর আলম/জেডএইচ/এমএস