জলাতঙ্ক ইউনিট
স্বাস্থ্যঝুঁকিতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নার্সরা
চুয়াডাঙ্গায় কুকুর বা বিড়ালের কামড়ে আক্রান্তরা জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সদর হাসপাতালে টিকা নিতে আসেন। তবে হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটের চরম অব্যবস্থাপনা শুধু রোগীদের জন্য নয়, সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্যও বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, তুলাসহ চিকিৎসার বর্জ্যগুলো এলোমেলোভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। যেখানে রোগীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই বিপজ্জনক এসব বর্জ্য রাখা হয়েছে। কোনো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা সেখানে রাখা হয়নি।
সজীব উদ্দীন নামে হাসপাতালে টিকা নিতে আসা একজন বলেন, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, তুলাসহ চিকিৎসার বর্জ্য এলোমেলোভাবে রাখা রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তাহলে কাজটা কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, ‘প্রতিদিন জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিতে হয়। কিন্তু এখানে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ চার-পাঁচ দিন ধরে জমিয়ে রাখা হচ্ছে। এগুলো সরানোর জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা উদ্যোগ নিচ্ছেন না, ইনচার্জও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ফলে আমরাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা দেওয়ার আগে বা পরে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ ব্যবহারের সুযোগও নেই। ব্যবহৃত সিরিঞ্জগুলো সঠিক নিয়মে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না, যা আমাদের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্যও ঝুঁকির কারণ হতে পারে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়। এছাড়া আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হুসাইন মালিক/এএইচ/এমএস