ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি

কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত গোপালগঞ্জ

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

গোপালগঞ্জে মাঝারি কুয়াশা আর কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায়।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়ালেও দেখা মেলেনি সূর্যের। মাঝারি কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে তুলেছে শীতের তীব্রতা। এ মৌসুমে জেলায় আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

তীব্র শীতের কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এমন আবহাওয়া আরও দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, জেলাজুড়ে বইছে হিমেল হাওয়া। কুয়াশার চাদরে ঢাকা জনপদ। বিভিন্নস্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা অনেকের। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষেরা। এরপরও জীবিকার তাগিদে হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে খুব সকালে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ শহরের রিকশাচালক আব্দুল্লাহ মিয়া বলেন, হিমেল হাওয়ায় রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছে না। এজন্য আমাদের আয় কমে গেছে।

হরিদাসপুর গ্রামের কৃষক মিরাজ মিয়া বলেন, তীব্র শীতের কারণে আমরা জমিতে যেতে পারছি না। বর্তমানে ইরি রোপণের সময়, কাজের অনেক চাপ। এরপরও শীতের কারণে জমিতে যেতে পারছি না। এদিকে শীতের কারণে শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিত্বেষ বিশ্বাস বলেন, শিশু ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য ওয়ার্ডেও শীতজনিত অসুস্থতা নিয়ে শিশু-বৃদ্ধাসহ প্রতিদিন গড়ে একশ রোগী ভর্তি হচ্ছে।

কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ মো. আবু সুফিয়ান বলেন, আজকে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন। এমন আবহাওয়া আরও দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে।

আশিক জামান অভি/এএইচ/এএসএম