ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মেঘনায় বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী কৃষি জমি

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:৪৩ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনে নদীর পাড় ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষি জমি। নদী তীরবর্তী গ্রাম ও কয়েক শত বিঘা কৃষি জমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগ উঠেছে বালু উত্তোলনের জন্য মেঘনায় ইজারা নেওয়া নিদিষ্ট জায়গা থাকলেও সে জায়গা ছেড়ে রাত হলেই ড্রেজার গুলো তীরে চলে আসে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নদী পাড়ের বেরু মোল্লা কান্দি গ্রামের কৃষকের বিস্তৃত জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও প্রায় অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি।

মেঘনায় বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী কৃষি জমি

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার বেরু মোল্লা কান্দি, নয়ানগর, চর রমজানবেগ ও ষোলআনী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালু মহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। ইজারার শর্ত অনুযায়ী নদীর ১২৮ একর এলাকায় বালু উত্তোলন করা যাবে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সরকার নির্ধারিত জায়গার বাহিরে গিয়ে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে সন্ধ্যার পর এবং ভোরবেলা নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনের ফলে কয়েকশ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি।

বেরু মোল্লাকান্দি গ্রামের জুলহাস প্রধান বলেন, বালুমহাল চালুর পর নদীর পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলনের কারণে আমার ৮৬ শতাংশ জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমি প্রতিবাদ করায় সেসময় ডাকাত সর্দার বাবলা আমাকে মারধর করে। গুণ্ডা বাহিনীর হামলা মামলার ভয়ে ভুক্তভোগী অনেকেই কথা বলতে চান না।

একই গ্রামের বাসিন্দা হাসি বেগম বলেন, সরকার যে জায়গায় বালুমহাল ইজারা দিয়েছে সে জায়গা ছেড়ে রাত হলেই ড্রেজারগুলো তীরে চলে আসে। গত কয়েক মাসে বালু উত্তোলনে অন্তত দুইশ বিঘা কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অসংখ্য মানুষ জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এবিষয়ে কথা বললেই এলাকাবাসীকে মারধর করা হয়, এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়। তাই জীবনের ভয়ে কেউ কিছু বলে না।’

মেঘনায় বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী কৃষি জমি

ষোলআনী গ্রামের বাসিন্দা রবিউল আউয়াল বলেন, আমি আবু তাহেরের জমি জমা দেখাশোনা করি। আমার জানামতে গত কয়েক মাসে আবু তাহেরের প্রায় ২৩১ শতাংশ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

তবে এ বিষয়ে বালু মহালের ইজারা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রিফাত হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে বুধবার (১১ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, নদীর পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলন করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এএইচ/এএসএম