ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুরে ছাগলের টিকার হিসাব নিয়েও নয়-ছয়

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৮:৫৫ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে ছাগলের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ব্যবহার দেখিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বেশ জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ছাগলের ক্ষুরারোগ নির্মূলের লক্ষ্যে মোট ৯৩ হাজার ১০০টি পিপিআর টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২২ জন মাঠকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। কমিশন ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদেরকে জনপ্রতি একটি টিকার বিপরীতে ৫ টাকা কমিশন দেওয়ার চুক্তি হয়।

তবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উপজেলায় মোট ব্যবহৃত ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৫৫ হাজার অথচ উপজেলা প্রাণিম্পদ কর্মকর্তা মো. শওকত আলী ৯১ হাজার ৭০০টি ভ্যাকসিনের খরচ দেখিয়ে জেলা কার্যালয়ে হিসাবের বিবরণী পাঠিয়েছেন।

সূত্রগুলোর হিসাবমতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ৩৬ হাজার ৭০০টি ভ্যাকসিনের ব্যবহার বাড়তি দেখিয়েছেন। ৫ টাকা হারে যার কমিশন মূল্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা। এই অর্থ নিজের পকেটস্থ করার লক্ষ্যেই ডা. শওকত আলী পরিকল্পিতভাবে পিপিআর টিকা ব্যবহারের হিসাবে নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, অফিসের কেউ আমার সঙ্গে শত্রুতা করে ভুল তথ্য সরবরাহ করে আমাকে বেকায়দায় ফেলতে চাচ্ছে। টিকা খরচের ওই হিসাব সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে যা খরচ হয়েছে আমি সেটাই জেলায় পাঠিয়েছি। এখানে অনিয়ম-দুর্নীতি করার কোএনা সুযোগ নেই।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এএসএম