মাগুরায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
মাগুরার শ্রীপুরে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অমরেন্দ্রনাথ বাছাড়ের অপসারণ ও পদত্যাগ দাবিতে কলেজের সামনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রদীপ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দ্বারিয়াপুর এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অমরেন্দ্রনাথ বাছাড়ের অপসারণ ও পদত্যাগ দাবিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান বিশ্বাসের নেতৃত্বে সোমবার (২ ডিসেম্বর) কর্মসূচি দেওয়া হয়। একই দিনে দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রদীপের নেতৃত্বে যুবদলের কর্মী সমাবেশ আহ্বান করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে রফিকুল ইসলাম প্রদীপের সমর্থকরা আলোচনা সভা করছিলেন। এসময় জিল্লুর রহমানের সমর্থকরা সাচিলাপুর বাজার থেকে মিছিল নিয়ে কলেজের দিকে গেলে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে ফরহাদ হোসেন (৩০), হাবিব মোল্যা (৪৫), শুকুর মাহমুদ (৩৬), কাইয়ুম হোসেন (৪০), আব্দুর রশিদ (৫৫), আশিকুর রহমানসহ (৩২) উভয় পক্ষের ১০ জন গুরুতর আহত হন। আহত কাইয়ুমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির দুই নেতা। দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রদীপ বলেন, সামনে উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠিত হবে। এজন্য দুদিন আগেই মাইকিং করে দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে যুবদলের কর্মী সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। আমরা সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ জিল্লুর রহমান বিশ্বাসের নেতৃত্ব একটি মিছিল নিয়ে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অমরেন্দ্রনাথ বাছাড়ের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে আমরা কলেজের দিকে যাই। এসময় দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রদীপের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এসআর/এএসএম