গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে প্রেম, বিয়ে করে সিরাজগঞ্জে চীনা যুবক
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার একটি পোশাক কারখানায় দুজনের পরিচয়। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরবর্তীতে দুজন স্বপ্ন দেখেন একসঙ্গে ঘর বাঁধার। তবে বাধা ছিল দুই দেশের দূরত্ব, ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি। এসব বাধা অতিক্রম করে বিয়ে করেছেন সিরাজগঞ্জের মেয়ে অন্তরা খাতুন ও চীনা নাগরিক চেংনাং।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বিয়ারা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে অন্তরা। তার ৯ বছর বয়সি একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আগের স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ৫ মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এসব জেনেই ধর্ম পরিবর্তন করে তাকে বিয়ে করেন চেংনাং। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তার নতুন নাম সালমান স্বাধীন।
বর্তমানে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ারা গ্রামে সময় কাটাচ্ছেন। এরআগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) গাজীপুর থেকে অন্তরা তার স্বামীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
অন্তরা খাতুন বলেন, গাজীপুরের পোশাক কারখানায় কাজ করা অবস্থায় চায়না থেকে কিছু বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে চেংনাং তাদের কারখানায় আসেন। তখন তাকে দেখে চেংনাংয়ের ভালো লেগে যায়। এরপর গুগল ট্রান্সলেটের মাধ্যমে ফেসবুকে তাদের কথাবার্তা ও মন দেওয়া-নেওয়া হয়। এভাবে প্রায় তিন মাস প্রেমের সম্পর্ক চলার পর চেংনাং ইসলাম ধর্ম করেন। পরবর্তী ২২ সেপ্টেম্বর পরিবারের সম্মতিতে তারা গাজীপুরের একটি আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন।
অন্তরা আরও বলেন, এটা আমার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগেও আমার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেটি বনিবনা না হওয়ায় পাঁচ মাস আগে ডিভোর্স হয়েছে। তবে ৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে আমার। এসব মেনে নিয়েই সালমান স্বাধীন ওরফে চেংনাং তাকে বিয়ে করেছেন বলে তিনি জানান।
অন্তরার মা রাহেলা খাতুন বলেন, ভিনদেশী হলেও ধর্মীয় রীতি মেনেই আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মা হিসেবে চিংনাংকে আমি জামাতা হিসেবে মেনে নিয়েছি। এখন ওদের সুখের সংসার হবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।
স্থানীয় আবু তাহের বলেন, দুজনের সম্পর্ক হয়েছিল। সেই টানেই তারা বিয়ে করেছে। তবে বিদেশি বর দেখতে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন বলে তিনি জানান।
এম এ মালেক/এফএ/জিকেএস