ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কৃত্রিম সার সংকটে দিশেহারা চাষি

জেলা প্রতিনিধি | লালমনিরহাট | প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়ছে আলু ও ভুট্টা চাষিরা।

কৃষকদের অভিযোগ, পরিবেশকরা (ডিলার) কৃষকদের কাছে সার বিক্রি না করে অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। পরে সেই সার খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার বিক্রি করা হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে সাড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি। তাও মিলছে না চাহিদামত।

জানা গেছে, জেলা পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা আলু ও ভুট্টার চাষে মৌসুমি উপজেলার বিসিআইসি এবং বিএডিসির ডিলার সার বরাদ্দ পেয়েও প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে রাতারাতি খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। খুচরা বিক্রেতা নিচ্ছে চড়া মূল্যে।

সরকার অনুমোদিত এ ডিলাররা সরকারি নির্দেশনা না মানায় দেখা দিয়েছে সারের কৃত্রিম সংকট। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।

কৃত্রিম সার সংকটে দিশেহারা চাষি

হাতীবান্ধা উপজেলার বিসিআইসির ডিলাররা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, নভেম্বর মাসের চাহিদা মতো সার আমরা এখনো পাইনি। এ কারণে বাজার একটু সংকট দেখা দিচ্ছে। কৃষকরা সারের সংকট গুজবে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত সার কিনতে ব্যস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।

লালমনিরহাট মহেন্ত্রনগর বিএডিসি সূত্রে জানান, নভেম্বর মাসে টিএসপি বরাদ্দ ১৯২৬ মেট্রিক টন, উত্তোলন হয়েছে ১৮৭৮ মেট্রিক টন মজুদ ৯৯৫.৫ মেট্রিক টন। এমওপি বরাদ্দ ২০৭০ টন। উত্তোলন ২০০৫ মেট্রিক টন। মজুদ ৭০.১৫ মেট্রিক টন। ডিএপি বরাদ্দ ৩৪১২ মেট্রিক টন। উত্তোলন ২৯১৩ মেট্রিক টন। মজুদ ২১.৮ মেট্রিক টন।

অপর দিকে বিসিআইসি বাফার গুদাম ইউরিয়া সার বরাদ্দ ৩২৫৬ মেট্রিক টন। উত্তোলন ৩০৪৮.৫০ মেট্রিক টন। মজুদ আছে ২০৭.৫ মেট্রিক টন।

কৃত্রিম সার সংকটে দিশেহারা চাষি

তিস্তা চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে আলু ও ভুট্টা লাগানো শুরু হয়েছে। এ সময়ে টিএসপি, বিওপি ও এমওপি সার সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে সার। ডিলারের কাছে গেলে বলছে সার নেই।

হাতীবান্ধার বড়খাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ডিলাররা রাতারাতি সার নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে দিচ্ছেন। এজন্য আমরা সার পাচ্ছি না। প্রশাসন যদি অভিযান চালায় তাহলে এ সংকট থাকতো না।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, সারের কোনো সংকট নেই। বিআরডিসি থেকে তারা নভেম্বর মাসের পুরো বরাদ্দটি দিতে পারেনি। পরিবহনের সমস্যার কারণে তবে দু-একদিনের মধ্যেই সমাধান হবে। অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার বিষয়টি মনিটরিং চলছে।

রবিউল হাসান/আরএইচ/জেআইএম